প্রবাহ নি উজঃ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে খুনি অ্যাখ্যা দিয়ে তার মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর প্রহসনের বিচারের নামে ১০০ জনের বেশি সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান। আরো কয়েক হাজার সদস্যকে গুম করেছেন তিনি। তার মরণোত্তর বিচার দাবি করছি।
আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনাসভায় এ কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী।
‘১৯৭৭ সালে খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা’ শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ বীরবীক্রম, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকসহ ১৯৭৭ সালে গণফাঁসি ও গণগুমের শিকার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সন্তানরা।
আলোচনাসভায় মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের জিঘাংসার শিকার ৭৭-এর দেশপ্রেমিক সামরিক সদস্যরা। তারা প্রায় সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রহসনের বিচারে কৌশলে তাদের খুন ও গুম করেছে জিয়া। আইনের শাসনের স্বার্থে কমিশন গঠন করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জিয়ার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি ছিলেন বর্ণচোরা মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার কাউন্সিল গঠন করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। গণদাবিতে অনেক কিছুই হয়েছে, জিয়ার মরণোত্তর বিচার জরুরি ও বাঞ্ছনীয়।
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কমিশনের পাশাপাশি চার নেতা, ৭৭-এর খুন ও গুমেরও কমিশন হওয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধা সামরিক সদস্যদের হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়ার অবস্থান হয়েছে মীর জাফরের পাশে। যুদ্ধেও তিনি পাকিস্তানের চর হিসেবে কাজ করেছেন। সংসদ ভবনে জিয়ার কবর থাকতে পারে না।
৭৭-এ গণফাঁসি ও গুমের শিকার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সন্তানরা ২ অক্টোবর ‘খুনি জিয়া’ যাদের ফাঁসি দিয়েছেন তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ ঘোষণা, জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, তার কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।