কিশোরগঞ্জে নগুয়া আয়শা দাখিল মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রসার দাতা মোঃ আজিজুর রহমানসহ অবিভাবকেরা । তিনি জানান বিধি অনুযায়ী দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্রেজুয়েট হলেও অবৈধ এ সভাপতি আমাদের জানামতে এসএসসি পাশও করেনি। তিনি আরো জানান, মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আব্দুল খালেক ২০১৬ সালে ৩৯৩৫৩৮/- টাকা আত্মসাৎ,নানা অনিয়ম, কর্তব্যে অবহেলা ও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য সাময়িক বরখাস্ত হন। অনেক দেনদরবারের পর ২০১৭ তারিখে আত্মসাতের স্বীকারোক্তি দিয়ে দিয়ে মাদ্রাসার একাউন্টে ১০০০০০/- জমা দেন। প্রতিশ্রুত বাকী টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানালে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে সুপারের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী মামলা নং (৫৪৬(১)১৭ দায়েরের পর মাদ্রাসার একাউন্টে আরো ৫০০০০/- টাকা জমা করে বাকী অর্থ ফেরত দানের শর্তে জামীন প্রাপ্ত হন। ৩ জুন ২০১৭ সালের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সুপারকে অপসারণের জন্য নির্ধারিত ফি সহ কাগজপত্র বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডে প্রেরণ করে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড রহস্যজনক কারণে আজ অবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এর মধ্যে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই সুযোগে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে মামলার বাদী ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত থাকা ওই সুপারের সাথে যোগসাজসে পর পর ৫ তারিখ গড় হাজির থাকায় সুপারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজ হয়ে যায়। অনিশ্চিত হয়ে যায় বাকি ২,৪৩৫৩৮/-টাকা যা আজ পর্যন্ত মাদ্রাসার ঐ সুপার জমা দেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আব্দুল খালেক ও ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ নজরুল ইসলামের এ সমস্ত যোগসাজসিক কাজ তাদের দ্বারা কৃত অর্থ আতœসাৎ,নানা অনিয়ম, অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ড ধামা চাপা দেয়ার জন্য অতি গোপনে নির্বাচন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে কমিটি করা হয়। মাদ্রাসার অবিভাবক,মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকাবাসী ও জমির দাতা ও উত্তরাধিকারীদের পক্ষ থেকে আমরা এই কমিটি যাবতীয় কর্মকান্ড বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে সংঘটিত অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন মাদ্রাসার অবিভাবকরা।