সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ভাইয়ের হাতে ভাই নুরুল আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-৯ এর উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া এলাকায় র্যাব -৯ এর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে নুরুল আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের নিয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকর্মীদেও সামনে তুলে ধরেন র্যাব-৯ এর সিলেট বিভাগের অধিনায়ক উইং কমান্ডার মমিনুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সুনামগঞ্জ অঞ্চলের দায়িতব্বপ্রাপ্ত লেঃ কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য গতকাল ১ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে র্যাবের সদস্যরা গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে নুরুল হক(৬৫),শাহজাহান (৫৫),শাহ আলম (৫৩), মো. নুরুল হকের ছেলে রুমনাজ মিয়া (২৮) ও নাঈম মিয়া (২৫)।
র্যাব ৯ এর সিলেট অঞ্চলের অধিনায়ক উইং কমান্ডার মমিনুল হক বলেন,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে গত ১৯ জানুয়ারি জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নিহত নুরুল আমিনের আপন ৩ ভাই ও ২ ভাতিজা নুরুল আমিনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের ছেলে তাছকিরুল বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের পর থেকে আসামিরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে গোপনে জীবনযাপন কওে আসছিল। র্যাব সদস্যরা প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পহেলা ফেব্রæয়ারী সকালবেলা ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেও গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জে র্যাব-৯ এর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এবিষয়ে সুনামগঞ্জ র্যাব ক্যা¤েপ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৯ এর সিলেট অঞ্চলের অধিনায়ক উইং কমান্ডার মমিনুল হক আরো বলেন, ঘটনার পরপর আসামিরা গ্রাম ছেড়ে ঢাকাতে পালিয়ে যায়। জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি যেকোন ধরনের নাশকতা কিংবা দেশ বিরোধী কর্মকান্ড,মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে র্যাব সবসময়ই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।