নিজস্ব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ-১ (পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. শামসুল হক (গোলাপ মিঞা) ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গোলাপ মিঞাসহ ১৯ জন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছরের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার বিকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বাবুল মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. শামসুল হক গোলাপ মিঞা ১৯৪০ সালের ৪ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী সিরাজুল হক ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। মা আমেনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ছিলেন। সততা, কর্মনিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ, মানুষের প্রতি অপরিসীম মমত্ববোধসহ নানা গুণে গুণান্বিত এই রাজনীতিবিদ কিশোরগঞ্জ তথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক আলোচিত নাম।