:: নিজস্ব প্রতিনিধি ::
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নাজিরের বিরুদ্ধে জমি ক্রয়ে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।
নিজ এলাকায় জমি ক্রয় করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে জমির দলিলের প্রকৃতিতে দানপত্র দেখিয়েছেন তিনি। এছাড়াও নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়াসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গত ২ মে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তাড়াইল উপজেলার পূর্ব দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মুহিত উদ্দিন খান।
অভিযুক্ত নাজির আতাউর রহমান খান মিন্টুর গ্রামের বাড়ি তাড়াইল উপজেলার পূর্ব দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। সংবাদ সম্মেলনে মুহিত উদ্দিন খান অভিযোগ করেন, নাজির আতাউর রহমান খান মিন্টু সম্প্রতি তাড়াইল উপজেলার দশদ্রোন মৌজায় ৬৯ শতাংশ ও পংপাচিহা মৌজায় ২৫ শতাংশ জমি কিনেন। দুই মৌজায় ৯৪ জমি শতাংশ জমি ক্রয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নেন তিনি। জমিদাতারা বংশগত বা নিকটতম আত্মীয় না হওয়া সত্বেও দলিলে দানপত্র দেখানো হয়।
ক্রয়কৃত জমির বাজারমূল্য ৫০ লাখ টাকার অধিক হলেও রাজস্ব ফাঁকি দিতে সে জমির নামমাত্র মূল্য ধরা হয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার টাকা। জমি বিক্রেতা পাঞ্জু ভূইয়া জানান, আমার ছেলে হিরণ আর নাজির মিন্টু মিলে কিভাবে দলিল করেছে সে বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব জানান, কেউ তথ্য গোপন করে দলিল করলে প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের কোন সুযোগ থাকে না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাজির মিন্টুর বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে উপার্জিত টাকায় কিশোরগঞ্জ শহরের পাগলা মসজিদ সংলগ্ন ও গাইটাল এলাকায় পাঁচ শতাংশ করে দুটি জায়গা ক্রয় করারও অভিযোগ করা হয়। গ্রামের বাড়িতেও নির্মাণ করছেন বিলাসবহুল বাড়ি। আত্মীয়স্বজন ও অন্যদের জাগয়াজমি জোর করে দখল করে রাখারও অভিযোগ করা হয়। শুধু তাই নয়, তার নামে সরকারি সেচ মোটরও রয়েছে। সেচ মোটরটি সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে দেওয়া হলেও কৃষকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন তিনি। আতাউর রহমান খান মিন্টুর এ সব দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আতাউর রহমান খান মিন্টুর দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। আতাউর রহমান মিন্টু এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তবে জমি ক্রয়ে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, এখন পর্যন্ত নাজির মিন্টুর বিরুদ্ধে কেউ লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নাজিরের বিরুদ্ধে জমি ক্রয়ে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।