৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
:: নিউজ ডেস্ক ::
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’। আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় এটি কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশে উপকূলীয় ১২ জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকা ৫-১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এসব জেলা হলো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এসব জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
গত রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয়শিবিরগুলোতে বসবাসকারী রোহিঙ্গারাও ঝুঁকিতে আছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে আশ্রয়কেন্দ্রকেন্দ্রিক জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সব জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও আশ্রয় নিশ্চিত করতে হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-পূর্ব উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতি গতকাল বিকেল পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার ছিল। আগের দিনের তুলনায় এর গতি বেড়েছে। এই গতিতে এগোলে ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অর্থাৎ টেকনাফের দক্ষিণ দিক দিয়ে মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তবে আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ মোখার অগ্রভাগের প্রভাব উপকূল এলাকায় দেখা যাবে। এতে এসব এলাকায় দমকা হাওয়াসহ অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। গতকাল রাত ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে কাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ আছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেন্ট মার্টিন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যেহেতু এটা টেকনাফের দক্ষিণে পড়েছে। এদিক দিয়েই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অতিক্রম করবে। এ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তাই সবচেয়ে বেশি। কক্সবাজার পুরো জেলাই আসলে ঝুঁকি বা ক্ষয়ক্ষতির আওতায় থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল কালের কণ্ঠকে জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজার এলাকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিনে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে; কিন্তু অপ্রতুল। যাদের আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়, তাদের ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। অতীতেও এ ধরনের পরিস্থিতিতে সেন্ট মার্টিন থেকে সরকার লোকজনকে সরিয়েছে।
টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবিরগুলোতে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে। মাকসুদ কামাল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঝুঁকি জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি না, বাতাসের ঝুঁকি। ওখানে তাদের বাসস্থানগুলো অতটা শক্তিশালী নয়। এই বাতাসে সেগুলো টিকে থাকা কঠিন হবে।’ এ ছাড়া তাত্ক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি ভূমিধসের ঝুঁকি আছেও বলে জানান মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, এখানে বন কাটা ও মানুষের নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে পাহাড়গুলোতে ফাটল বা চ্যুতি তৈরি হয়েছে। এই ফাটলগুলো দিয়ে পানি প্রবেশ করবে। ফলে ফাটল বা চ্যুতি ক্রমে বড় হবে। বর্ষা মৌসুম যখন আসবে তখন সেখানে বড় ভূমিধস হবে। সুতরাং ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের তাত্ক্ষণিক ঝুঁকি তো থাকছেই, আসন্ন বর্ষা মৌসুমের ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে। এই ঝুঁকি মাথায় রেখে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও আশ্রয়ের কথা বিবেচনা করতে হবে।
দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি রোধ করার তাগিদ দিয়ে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমাদের হাতে এখনো সময় আছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। আজকের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রকেন্দ্রিক জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবক কমিটিগুলো যদি সক্রিয় হয়, তাহলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়া আনা সম্ভব।’
জলোচ্ছ্বাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল রাতে জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পাঁচ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তবে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তাঁর ফেসবুকে জানান, বাংলাদেশের সব উপকূলীয় এলাকা ১০ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের হুমকিতে আছে। কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ থেকে ১২ ফুট, বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে ৮ থেকে ১২ ফুট ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মোখা সেন্ট মার্টিন অতিক্রম করার সময় কোনো ভবনের তৃতীয় তলার নিচে আশ্রয় নেওয়া নিরাপদ নয়। দ্বীপের প্রতি ইঞ্চি মাটি সমুদ্রের পানির নিচে থাকার আশঙ্কা ৯০ শতাংশেরও বেশি।
শক্তিশালী হচ্ছে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, গতকাল দুপুর ১২টায় মোখার আই বা চোখের যে ফরমেশন (গঠন) সেটা হয়ে গেছে। এটার শক্তি বাড়ছে। এর চতুর্দিকে মেঘের ঘনত্ব (ক্লাউড ডেনস) বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, মোখার আগের প্যাটার্ন ছিল সিডিও (সেন্ট্রাল ডেনস ওভারকাস্ট প্যাটার্ন)। সেখান থেকে এটা আজকে (গতকাল) ব্যান্ড প্যাটার্নে চলে এসেছে। সেই সঙ্গে এর তীব্রতাও বাড়ছে। ব্যান্ড প্যাটার্ন হলে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। এতে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়, অনেক বজ্রপাত হয় ও দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বেশি হয়।
আঘাতের গতিবেগ
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় উপকূলে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এদিকে আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে বলেন, মোখা সুপার সাইক্লোনে (বাতাসের গতি ২২১ কিলোমিটারের বেশি) পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানকাল : বাংলাদেশে মোখার অবস্থানকাল হবে চার থেকে ছয় ঘণ্টা। এরপর ধীরে ধীরে এটা বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।
তাপপ্রবাহ
এদিকে গতকালও দেশের বিভিন্ন জায়গার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ফেনীতে ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ এই তাপপ্রবাহ কমে আসতে পারে।
‘রেড অ্যালার্ট’ জারি জিডিএসিএসের
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে দুর্যোগ সতর্কতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ডিজাস্টার অ্যালার্ট অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন সিস্টেম (জিডিএসিএস)। সংস্থাটি এই মুহূর্তে বিশ্বে চলমান দুর্যোগগুলোর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখাকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিন বিভাগে রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দেশের তিন বিভাগে আগামীকাল রবিবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। বিভাগগুলো হলো কুমিল্লা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম।
গতকাল বাংলাদেশ আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রবিবারের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষার সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রবিবারের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ছিল সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এদিন পদার্থবিজ্ঞান-২ এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার বিমান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে আজ সকাল ৭টা থেকে আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে।