সুলতানা ফেরদৌস রিমা
বীর বাঙালী জাতি মোরা গর্ব করে বলি..
বিকৃত মস্তিষ্ক মোদের পাষান হয়ে চলি।
ওহে নর বলছি তুমাই কাপুরুষের পরিচয়..
ঘৃনার চোখে দেখে দেখো লজ্জা কি তোমার হয়।
নারী কাদে হাহাকার বাচঁতে আমি চাই..
পুরুষত্ব খাটাও তুমি কলঙ্ক লেগে যায়।
কারো বোন, কারো মেয়ে প্রাণ মরে..
সাদা কাপড় রক্তে লাল চোখে অস্রু ঝরে।
তোর থেকে শিশুর নিস্তার রক্ষা নাই ফিরে..
ফুটায়,ফুটায় অস্রু গড়াই হাজারো মানুষের ভিড়ে।
মুখের মাঝে কাপড় বাধা প্রানপ্রন ছুটে..
অভশেষে হার মেনে মৃত্যুর কোল লুটে।
ধষিতা স্বাধীনভাবে বাচতে নাহি পারে..
সমাজ তাকে কলঙ্কীনি বুজাই বারে,বারে।
ওরে অধম বলছি তোরে মন দিয়ে শোন…
মন্দেরও পতন হয় তোর দিন গুন।
বাবার রাজকন্যা হঠাৎ নিখুজ হয়..
নানান জনে নানান মানুষ কতো কথা কয়।
সকাল হতে সন্ধ্যা মেয়ে ফিরে নাকো..
কাদে সপরিবারে এবার পুলিশ ডাকো।
রাত পু্হাতে সাদা কাপরে জরিয়ে আছে কেউ..
মুখ খানা মলিন তাহার কানো শোকের ঢেউ।
চোখ তাহার বন্ধ নিথর তার দেহ…
বাবা ডাকে মা,মা উঠায় তোরা কেহ।
সেই ঘুম ভাঙ্গেনা ওরে পাষাণের দল..
মেয়ে হয়ে জন্ম মোর এটাই দুষ বল!!
শিশু,বৃদ্ধা, বোন,মা নিস্তার নাই তোর থেকে..
নিষ্ঠুর এই পৃথিবীতে আমায় দাও ডেকে।
জীবনানন্দ দাস পরের জন্মে কাক হতে চায়..
আমি চায়না মেয়ে হতে বাচা বড় দায়।
নির্জন পথে নারী দেখে আচল দরে টানো..
নারী হলো মায়ের জাত এইটাও মানো।
ধর্ষিতা যখন বিচার চায় সমাজের কাছে…
মা বলে চুপ থাক সমাজে আমাদের সম্মান আছে।
এই ঘটনা শোন যেন হয়না জানাজানি..
অবাক চোখে চেয়ে থাকে চোখে গড়াই পানি।
কষ্ট তো তখনি তখনি হয় এমন কথার মাঝে..
ওহে খুদা এমন পৃথিবী কোন খেলায় সাজে।
মৃত্যু তুমি হালাল করো বাচতে নাহি চায়…
মরে গেলেই বেচে যাবো একটাই উপায়।
চঞ্চল মেয়েটি আজ কেনো চুপচাপ থাকে…
সাবার থেকে কেনো নিজেকে আড়াল করে রাখে?
ওরে অধম পুরুষ জাত নারীর গর্ভে ছিলি…
মা জাতির প্রতিদান এভাবে কেনো দিলি?
কখনো যদি কন্যা হয় শোনে রাখ তুই..
তোর মতো কাপুরুষ যেন না ছুঁয়।
বোন তোর আদরের পরের মেয়ে মাল…
যদি তোর হয় কন্যা করবি কি কাল?
পাখার সাথে ঝুলছে দেহ চোখে গড়াই পানি..
অপূর্ণতার জীবনে লোকে করে কানাকানি।
সম্মান করিস সময় থাকতে আগলে শিখতে রাখ..
কাল না হয় তোর মেয়ের পরবে দেখিস ডাক।
কোলশ মুক্ত সমাজ মেয়ে আমরা চাই..
সম্মান অনেক দামি কিনা না যায়..
থাকতে চায় ভালোবাভে বলছি মোরা..
বাচঁতে দিসনা মোদের নরপশু তোরা।🙂