৩ মাস পর খোলা হলো পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিললো ২০ বস্তা টাকা - Doinik Probaho
শনিবার , ৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

৩ মাস পর খোলা হলো পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিললো ২০ বস্তা টাকা

প্রতিবেদক
সাইফুল্লাহ সাইফ
জানুয়ারি ৭, ২০২৩ ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি

পাগলা মসজিদে পাওয়া টাকা গণনার কাজ চলছে

মসজিদের নাম পাগলা মসজিদ। কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আটটি লোহার দানবাক্স আছে। তিনি মাস ছয় দিন পর শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এগুলো খোলা হয়েছে। এতে ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টাকা গণনা কাজে সিনিয়র সহকারী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ২০টি বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।

জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এই মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের বলে জানা যায়।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা রয়েছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।

এরইমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ - লিড নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

নবীজীকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ : তথ্যমন্ত্রী

আপনার একটি শেয়ার হারিয়ে যাওয়া নূর কে ফিরে পেতে পারে বাবা মা

‘যাও পাখি বলো তারে’ সিনেমার দ্বিতীয় রোমান্টিক গান প্রকাশ

দেশসেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন আবেদা আক্তার জাহান

কিশোরগঞ্জে জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের ২২ লাখ টাকার চেক বিতরণ

কিশোরগঞ্জে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে আর্থিক অন্তর্ভূক্তি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঘুষে চেয়ে ভিক্ষা উত্তম

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নির্বাচনী প্রচারণায় হিরো আলম, সেলফি তুলতে ব্যস্ত ভক্তরা

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ায় প্রেমিকার আত্মহত্যা