:: নিজস্ব প্রতিনিধি ::
পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে মোহাম্মদ শেখ ফাহিম । সে ৩০ পারা কোরআন হিফজ করায় আনন্দিত শেখ ফাহিমের পরিবার ও শিক্ষকরা।
মোহাম্মদ শেখ ফাহিম সাপ্তাহিক শুরূক’র সম্পাদক মুহা.ফজলুর রহমানের বড় নাতী এবং কিশোরগঞ্জ সদরের কলাপাড়া গ্রামের ব্লাস্ট এর সিনিয়র আউটরিচ অফিসার মোঃ আমানুল্লাহ ও ইফফাত জাহান বন্যা দম্পতির বড় ছেলে। সে ঢাকা শনির আখড়া, জিয়া স্বরণী রোড, পলাশপুরের জামিয়া কোরআনিয়া এমদাদিয়া মাদরাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করেছেন।
জানা গেছে, ব্লাস্ট এর আউটরিচ অফিসার মোঃ আমানুল্লাহ এঁর দুই ছেলে এক মেয়ে। তাঁর দাদা ও বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হাফেজ বানাবেন। সে জন্যই ছেলেকে পলাশপুরের জামিয়া কোরআনিয়া এমদাদিয়া মাদরাসায় ভর্তি করান ।
মোহাম্মদ শেখ ফাহিম দৈনিক প্রবাহ কে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন দ্বিনের দায়ী হতে পারি।
কিশোরগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক শুরূক এর সম্পাদক মুহা.ফজলুর রহমান বলেন, আমার নাতী ৩০ পাড়া কোরআন মুখস্ত করেছে সে জন্ম হওয়ার আগেই আমাদের ইচ্ছে ছিল আমার নাতীকে হাফেজ বানানোর। আল্লাহর রহমতে আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমার নাতী যেন দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে পারে।
মোহাম্মদ শেখ ফাহিমের বাবা মো.আমানুল্লাহ বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে শেখ ফাহিম আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে কবুল করে।
তার মা ইফফাত জাহান বন্যা বলেন, আমার ছেলের পরিশ্রম ও উস্তাদদের চেষ্ট্রায় সে হিফজ শেষ করেছে। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন সে তার লক্ষ্যে পৌছাতে পারে।